গাজায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি’র লাইভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলের দখলে চলে গেছে। এতে ফিলিস্তিনিরা দিন দিন সংকুচিত ভূখণ্ডে আটকা পড়ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে
ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, কৃষিজমি ও অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যাতে এসব জায়গা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে।এদিকে, টিআরটি’র আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য গাজার বাসিন্দাদের বাধ্য করছে অন্যত্র সরে যেতে। পাশাপাশি দেইর আল-বালাহ শহর থেকেও নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদরাই এক্স (টুইটার)-এ দেইর আল-বালাহের পাঁচটি এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের একটি মানচিত্র শেয়ার করেছেন।
সোমবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
টিআরটি’র মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, দখলদার বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত একটি তাঁবুতে হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক হেলমি আল-ফাকাওয়ি ও আরেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এ সময় আরও ৯ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলের পশ্চিম দেইর আল-বালাহে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, পূর্ব গাজার জেইতুন এলাকায় ড্রোন হামলায় তিনজন এবং উত্তর গাজার আল-জুরন এলাকায় আরেকজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
এই সংঘাতের ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
১২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫