প্রায় তিন মাসের ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধসে পড়েছে। বর্তমানে গাজার প্রায় সব হাসপাতালই অচল। এমন পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন পার করছেন ৫০ হাজার গর্ভবতী ফিলিস্তিনি নারী। গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
বর্তমানে গাজায় প্রায় ৫০ হাজার নারী গর্ভবতী রয়েছেন। প্রতিদিন ১৮০টি
শিশুর জন্ম হচ্ছে। রোববার এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।রোববার এক বিবৃতিতে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, সাতটি হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী নারীদের সেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। যদিও যুদ্ধ শুরুর আগে গাজায় ২২টি হাসপাতাল ছিল।
একই দিন গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ধস নামলেও সেখানে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসাও করেছেন সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস। গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ধসে পড়ার ঘটনাকে ট্র্যাজেডি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তাহীনতা ও রোগীদের ঢল সত্ত্বেও চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স-চালক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজায় স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন এখন অনেক বেশি। অথচ যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় হাসতাপাতালে মাত্র ৩৮ শতাংশ শয্যা আছে। মাত্র ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে হাসপাতালে হামলার বিধান না থাকলেও গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হাসপাতালকে বারবার হামলার টার্গেট করেছে ইসরায়েল। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজার হাসপাতালে ২৪৬ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
২৬ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫