মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে এক ব্যক্তিকে মারধর করেছে উত্তেজিত জনতা। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর জের ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট
ছুড়তে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এই সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সোমবার কাফরুল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করে বলে নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্লা।
কাফরুল থানায় দায়ের করা দুই মামলার একটি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে, অপরটি আরেকটি পুলিশের কর্তব্যে বাধাদানের।
জসীম উদ্দীন বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলার আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ধর্মীয় উসকানির অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনো মতাদর্শ কাজ করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধার অভিযোগে আরেকটি মামলায় অজ্ঞাত সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ‘হাফিজ সিরাজী’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বেশ কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে মহানবীকে (সা.) নিয়ে এই আইডি থেকে নানা কটূক্তি করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যে এই পোস্ট দিয়েছে তাকে আমরা আটক করেছি। অনুভূতির কথা বলে এখানকার কিছু মানুষ ও কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ মিলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে।’ ‘আমরা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা কাজ কছি। সংঘর্ষে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
১৯ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫