তথ্য যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে নাগরিকদের সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেছেন, যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এনআইডি সার্ভার থেকে নাগরিকদের সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করার অনুমতি দেওয়া হবে না। বর্তমানে নির্বাচন
কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করে থাকে। তবে সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গত সপ্তাহে তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন মতবিনিময় সভা করেছে।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় এনআইডির ডিজি এ এস এম হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করতে দেওয়া হবে না। যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু তথ্য যাচাই করতে পারবে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে সঠিক বা ভুল বলে জানানো হবে। অর্থাৎ, নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাইয়ের কাজটি এখন থেকে সম্পূর্ণভাবে অন্যরা করতে পারবে না। তথ্য ফাঁস রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যারা অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও তদন্ত করতে পারবে। এছাড়া, তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে কর্মরত ব্যক্তিদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করতে হবে।
এনআইডির ডিজি আরও জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের পেন্ডিং আবেদন সমাধানের জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে। এই প্রোগ্রাম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দ্রুতই বাকি আবেদনগুলোরও নিষ্পত্তি করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
১ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫