টানা তিন ম্যাচ বেঞ্চে থাকার পর অবশেষে লাহোর কালান্দার্সের একাদশে জায়গা পেলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। করাচি কিংসের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচে সুযোগ পেয়েই চমৎকার বোলিং প্রদর্শন করেন তিনি। তবে তার ভালো পারফরম্যান্স সত্ত্বেও দলটি জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি।
রিশাদ ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন। তার ইকোনমি কিছুটা বেশি মনে হলেও, ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যেখানে
অধিকাংশ বোলারই রান দিয়েছেন উদারভাবে, সেখানে রিশাদের বোলিং তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিতই বলা চলে।ম্যাচের শুরুতে লাহোর কালান্দার্স ১৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলে। এর মধ্যে রিশাদ ক্রিজে এসে মাত্র ১ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ইনিংসটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডিএল পদ্ধতিতে করাচি কিংসের লক্ষ্য সংশোধন করে ১৫ ওভারে ১৬৮ রান নির্ধারণ করা হয়।
রিশাদ যখন বোলিং করতে নামেন, তখন করাচি কিংস ৬ ওভারে ৬৮ রান করে ফেলেছিল, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এমন চাপের মধ্যে রিশাদ তার প্রথম ওভারেই জেমস ভিন্সকে উইকেট শিকারে পরিণত করে দারুণ সূচনা করেন। তবে দ্বিতীয় ওভারে তিনি ১৩ রান দিয়ে ফেলেন, যার মধ্যে ছিল একটি চার ও একটি ছক্কা। শেষ ওভারে আরও ৮ রান দিয়ে তিনি মোট ২৮ রানে ১ উইকেট নেন।
রিশাদের বোলিং শেষ হওয়ার পর করাচির প্রয়োজন ছিল শেষ ৪ ওভারে ৫৮ রান। ইরফান খান (৪৮* রান, ২১ বল, ৫ ছক্কা) ও মোহাম্মদ নবীর (১৫ রান, ৮ বল) আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে করাচি লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে, হাতে ৩ বল বাকি থাকতেই।
এই ম্যাচে ১ উইকেট শিকারের মাধ্যমে রিশাদ হোসেন পাকিস্তান সুপার লিগে (PSL) বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত PSL-এ তার উইকেট সংখ্যা ৯টি, যা সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদিও রিশাদের ব্যক্তিগত সাফল্য দলকে জয় এনে দিতে পারেনি, তবুও তার এই অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য গর্বের বিষয়।
১ দিন আগে মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫