মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন। শনিবার (২২ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও বাতিল করেছিলেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। এছাড়া, ২০২০ সালের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকেও পরাজিত করেন তিনি। ট্রাম্প তার এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক স্মারকে বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি না।"রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাড়পত্র বাতিলের তাৎক্ষণিক বা মারাত্মক প্রভাব না থাকলেও ওয়াশিংটনে রাজনৈতিক উত্তেজনার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হন না।
এর আগেও ট্রাম্প বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রিপাবলিকান দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য লিজ চেনি, বাইডেন প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং রাশিয়া বিশেষজ্ঞ ফিওনা হিল। এছাড়াও, হুইসেল ব্লোয়ারদের প্রতিনিধি ও ওয়াশিংটনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনজীবী মার্ক জেইড এবং ট্রাম্পের কড়া সমালোচক ও সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যাডাম কিনজিংগারের ছাড়পত্রও বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরেই জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছিলেন। তবে, ছাড়পত্র বাতিলের এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন বাইডেন নিজেই। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তিনি ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছিলেন।
এই ঘটনাগুলো মার্কিন রাজনীতিতে চলমান টানাপড়েন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
২২ দিন আগে বুধবার, মে ১৪, ২০২৫