কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো.অলিউল্লাহ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অলিউল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাবা দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কোরবানি ঈদের
এ ঘটনায় পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার তিন বন্ধু রিয়াজ, অলিউল্লাহ, নুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে গত বুধবার রাতে ওই কিশোরীর নানার বাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। রাত ১০টায় দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে তার মুখ চেপে পাশের একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন পারভেজ। পরে নুরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে অন্য অন্যরা তার মুখ চেপে ধরে রাখেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে পারভেজসহ অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
ওই কিশোরীর মামি বলেন, ‘পারভেজ ঈদের পর থেকে আমার ভাগনিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। রাতে আমার ভাগনির চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে কাপড়চোপরে কাঁদা ও ছেঁড়া দেখতে পেয়ে ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাই। পরে সে গণধর্ষণের বিষয় আমাদের জানায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসি।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ভোক্তভোগী ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল (কুমেক) পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত আসামি অলিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৭ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫