Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সারাদেশ

চাঁদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা: স্বামীর যাবজ্জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট:
১০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো

চাঁদপুরে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুরে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী শাহনাজকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত স্বামী মাইনুদ্দিন মহিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় প্রদান

করেন।

মাইনুদ্দিন কচুয়ার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। হত্যার শিকার শাহনাজ একই ইউনিয়নের চাঙ্গিনী গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর মাইনুদ্দিন শাহনাজের পরিবরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে। যার কারণে মাইনুদ্দিনের পরিবার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে মাইনুদ্দিন ও তার পরিবার শাহনাজের নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে অত্যাচার চালায়। ঘটনা জানাজানি হলে শাহনাজকে তার মামা রহুল আমিন পনশাহী গ্রামে নিয়ে রাখে। এরপর মাইনুদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন অঙ্গীকারনামা দিয়ে শাহনাজকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসেন। পরে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারী মাইনুদ্দিন পরিবার শাহনাজকে তার পিতার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। শাহনাজ যৌতুক এনে দিতে না পারায় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ওইদিন সকাল ৭টার দিকে মাইনুদ্দিন শাহনাজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন দেয়। এতে শাহনাজ এর মাথা হতে পা পর্যন্ত পুড়ে যায়। অজ্ঞাত ব্যক্তির মাধ্যমে ঘটনা জানতে পেরে শাহনাজ এর পরিবার তাকে প্রথমে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারী সকালে সে মৃত্যুবরণ করে।

এ ঘটনায় শাহনাজ এর চাচা মো: আকতার হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাইনুদ্দিন, তার পিতা-আবু জাফর, মা-মনোয়ারা বেগম ও ভাই শাহজাহানকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

কচুয়া থানার তৎকালীন এসআই মো: নুরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে,  তিনি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের এপিপি খোরশেদ আলম শাওন জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় চলামান অবস্থায় ৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য প্রমান ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বিচারক এরায় প্রদান করেন। মামলার রায়ের সময় আসামী পলাতক ছিলেন। এছাড়া অপর ৩ আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।  আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো: ইলিয়াছ মানসুরী।

১০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন