রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন। তারা রেললাইনে বসে পড়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাদের সরিয়ে নিতে ধাওয়া দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ধাওয়া খেয়ে রিকশাচালকরা রেললাইন ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের
নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।হাইকোর্টের আদেশের পর গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেন। তাদের প্রতিবাদী অবস্থান ছিল যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। আজ (২১ নভেম্বর)ও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেন, ফলে এসব এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি হয়।
এর পাশাপাশি, মহাখালী রেলক্রসিংসহ অন্যান্য রেললাইনে অবস্থান নেন তারা, যার ফলে রেলপথও অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এতে ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে।
বর্তমানে ঢাকা শহরে প্রায় ১৩ লাখ রিকশা চলাচল করছে, যার মধ্যে একটি বড় অংশই ব্যাটারিচালিত। অনেক পুরাতন প্যাডেলচালিত রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক রিকশা তৈরি করা হচ্ছে। রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি, তবে এসব রিকশা সুযোগ পেলেই মূল সড়কে প্রবেশ করে। ঢাকার খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।
এছাড়া, এসব এলাকায় দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটছে, অনেকেই আহত হচ্ছেন এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও অবৈধ এসব রিকশার চলাচল থামানো যাচ্ছে না।
১৮ দিন আগে শনিবার, জুন ৭, ২০২৫