Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
১ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো




বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ

তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জমা দেন তারা।


পরে গণমাধ্যমে মামলার বিষয়ে মন্তব্য করেন তারা। তাদের দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পর্দার আড়ালের কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। নিহত সেনা পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ অনেকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী।


অভিযোগকারীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রথমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-কে ধ্বংস করার নীলনকশা প্রণয়ন করে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা বাংলাদেশ রাইফেলসে কর্মরত পেশাদার, সৎ, দক্ষ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের একটি অংশকে প্রথমে শিকার হিসেবে বেছে নেন। শেখ হাসিনা এই সেনা অফিসারদেরকে নিজের স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে, তাদের এবং তাদের পরিবারদের উপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।


এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে এবং অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পিলখানা সদর দপ্তরে তৎকালীন বিডিআরের কর্মরত নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা সেখানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন। এই ঘটনায় মোট ৭৪ জন প্রাণ হারায়।


এই মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ দেশের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধিতা করার সাহস ও শক্তি নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ করা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।


পিলখানা গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কারাগারে আটক থাকা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর জওয়ানদের মুক্তি দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন