চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যৌথবাহিনী অভিযানে নেমে অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীর পাথরঘাটা মাথার পট্টি, আন্দরকিল্লা এবং হাজারী গলি এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বহিষ্কৃত ইসকন
নেতা ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর। তাকে কেন্দ্র করে তার সমর্থক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে একটি গলিতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।রাত ১০টার পর থেকে পুরো চট্টগ্রাম শহরজুড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। তবে, রাত পর্যন্ত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নিহত সাইফুল ইসলামের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ১১টায় নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় দফা এবং বাদ আসর লোহাগাড়ার গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, বুধবার ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানির কথা থাকলেও তরুণ আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আদালত বর্জনের ডাক দিয়েছে।
২৩ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫