আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার-আমার টাকা ব্যাংকে থাকে, দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে, ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে ফেলা হয়েছে। এটা কিন্তু খেলাপি ঋণ নয়। খেলাপি
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘লুটপাট করা ৯২ হাজার কোটি টাকা আসার সম্ভাবনা নাই। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য তারা (সরকার) এভাবে ক্ষমতা রাখতে চায়। এই লুটপাটতন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনীতি সংকটে, জিনিসপত্রে দাম বাড়ে, আমার-আপনার পেটে লাঠি পড়ে, প্রতিদিন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং সেই টাকা পাচার হচ্ছে। জনগণকে বলব, এভাবে চলতে দেবেন? যদি না দেন তাহলে এই যে ভোট ডাকাতের তামাশা সেটাকে রুখে দিতে হবে। ওই নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। আপনার যদি দেশের প্রতি দায় থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন না। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোট দিতে যাবেন না। এটাই বাংলাদেশের এখন প্রত্যায় রুখে দেবেন। এই আজব তামাশা জনগণ প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে রুখে দেবে।’
সাকি আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই সংকটের সমাধানের সময় এখনো আছে। এদেশের সংকট সমাধানের এমনকি তাদের ভাষায় সংবিধানের অধীনেও পরিষ্কার ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়েন। পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনায় বসেন এবং তিন মাসের মধ্যে একটা অংশগ্রহণমূলক সত্যিকারের নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য নাকি রেডি। তাহলে মানুষের ওপর ভরসা করে আসেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মোকাবেলা করেন। আপনাদের যদি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেব। কিন্তু আপনাদের সেই সাহস নাই। জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ জনগণ ব্যালটে সিল দেওয়ার ক্ষমতা পেলে আওয়ামী লীগের এই সরকার ভেসে যাবে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সারাদেশে তারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকা মার্কার সঙ্গে ডামি প্রার্থীর সহিংসতা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা প্রার্থীর সহিংসতা। গত কয়েকদিনে দুইজন মারা গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অথচ দায়ী করা হচ্ছে বিরোধীদলকে।’
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার,রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান বক্তব্য দেন।
সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চ তোপখানা সড়কে মিছিল করে। এ ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য প্রভৃতি দল তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
২৭ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫