সরকার বাংলাদেশ পুলিশের রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য্যসহ ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে।
ছয় কর্মকর্তারা হলেন- রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা পুলিশ টেলিকমের
উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, আরআরএফের পুলিশ সুপার (পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্তির আদেশপ্রাপ্ত) মো. মীজানুর রহমান, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদক ফকির।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক ছয়টি প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসর দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সব সুবিধা পাবেন।
এর আগে ১৩ আগস্ট অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
২১ আগস্ট আরও তিনজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন এবং সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে একইভাবে অবসর দেওয়া হয়।
এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকেও অবসরে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ, ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক এবং অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে, ২ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সিআইডির ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন এবং নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকেও অবসরে পাঠানো হয়েছে।
২৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫