শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার দায়ে রাজা মিয়া (৩২) নামে এ যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজা মিয়া উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের বকাউল কান্দী এলাকার ওলি ব্যাপারীর
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে রাজা মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় কাঞ্চন মালার সঙ্গ। রাজা মিয়ার সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী কাঞ্চন মালার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে একাধিকবার মেয়ের জামাইকে নগদ টাকা দেন কাঞ্চনমালার বাবা আব্দুল মালেক।
২০২১ সালের ৬ জুন স্ত্রী কাঞ্চনমালাকে পুনরায় বাবাবাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দেন রাজা মিয়া। কাঞ্চনমালা টাকা আনতে না চাইলে রাজা মিয়া বাঁশ দিয়ে তাকে আঘাত করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ৮ জুন নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে রাজা মিয়াকে আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। বিচারিক আদালতে দুবছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রাজা মিয়ার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য কাঞ্চনমালাকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মৃত্যু হয় তার। এমন অমানবিক ঘটনার জন্য রাজা মিয়ার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, আসামি তার স্ত্রীকে হত্যা করতে চাননি। এছাড়া তিনি কোনো যৌতুকও দাবি করেননি। পারিবারিক ঝগড়ার সময় তার মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু ঘটে। আমরা রায়ের বিপরীতে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
১ দিন আগে শনিবার, জুন ৭, ২০২৫