সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে সুমন মিয়া (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় উপজেলার লাকমা সীমান্তে ভারতের কয়লা গুহায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুমন মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী
এ ঘটনায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েক সুবেদার আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে কয়লা আনতে গিয়ে এক যুবক মারা গেছেন। সীমান্তের চোরাচালান রোধে এখন থেকে ওই এলাকায় আমরা টহল বৃদ্ধি করব।’
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন এক যুবক। গত ৫ আগষ্ট অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে কয়লা কোয়ারিতে পাথর চাপায় মৃত্যু হয় ১ নম্বর শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে আক্তার হোসেন (১৮)। গত কয়েকদিন আগে জঙ্গলবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সানবাড়ি গ্রামের এক যুবক। গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে পাথর চাপায় গুরুতর আহত হন রজনীলাইন গ্রামের আসগর আলী (৩৮)। এছাড়াও ২০২২ সালে ভারত থেকে অবৈধ পথে কয়লা আনতে গিয়ে কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ৫ বাংলাদেশি যুবক আটক হয়।
৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫