লক্ষীপুরে ফার্নিচারের নকশার কারিগর রিয়াজ হোসেন হত্যার ঘটনায় কাউছার হোসেন ও রাকিব হোসেন নামে দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব। রিয়াজের সঙ্গে কাউছারের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। এরপর অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে রিয়াজের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্তরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী
এর আগে, তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গতকাল শুক্রবার ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে ও চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করে র্যাব।
কাউছার যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও রাকিব তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাউছার ও ভিকটিম রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছে। এ সুযোগে কাউছারের বাসায় তার আসা যাওয়া ছিল। এতে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরমধ্যে কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি অভিযুক্ত রাকিবকে কাউছার জানায়। এতে তারা রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইলে কল করে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় কাউছার তাকে ডেকে নেয়। দুই মাস আগে তারা দুইজন ওই বাসা ভাড়া নেয়। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। পরে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগীতা চায়। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে র্যাব-৭ ও র্যাব ১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করা হয়। তাদের চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় র্যাব।
১ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫