স্থানীয় নয়, অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে—এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন প্রলম্বিত করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থপতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৭ বছরে অবাধ, সুষ্ঠু ও সর্বজনগ্রাহ্য
নির্বাচনের যে ভয়াবহ পরিণতি আমরা দেখেছি, তা হওয়ার কথা ছিল না। ৯০-এর আন্দোলনের যে গতি ছিল, সেই গতি থেকে আবারও হোঁচট খেয়ে ব্রেকিং হবে—এটা কেউ প্রত্যাশা করেনি। শুধু ব্রেকিং নয়, গত ১৭ বছরে এমন সব দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর। এজন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞানে নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে। কীভাবে একতরফা ও এক ব্যক্তির নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনের বেলায় ভোট রাতের বেলায় করা হয়েছে, ভোটারদের মাইকিং করে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের সামনে চতুষ্পদ জন্তুর পদচারণা দেখা গেছে—এ ধরনের নির্বাচন আমরা গত ১৬-১৭ বছরে প্রত্যক্ষ করেছি।তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, যারা বিরোধী দলের মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজটি করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। কেউ কেউ মনোনয়ন জমাও দিতে পারেনি। এসব ঘটনা স্থানীয় নির্বাচনের সময়ও ঘটেছে, জাতীয় নির্বাচনের সময়ও ঘটেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, একতরফা নির্বাচন করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি যাদের হাতে থাকে, তারা প্রতিপক্ষের ওপর কী ভয়াবহ অত্যাচার ও বাধার নজির সৃষ্টি করেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে, হামলা করা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক হুদা, ইথুন বাবু, আহসান উদ্দিন খান শিপন প্রমুখ।
৩ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫