বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। সাংবিধানিক সংকট হলে, রাষ্ট্রীয় সংকট বা রাজনৈতিক সংকট হলে, সেই সংকটের পেছনে কী শক্তি রয়েছে, তা আমাদের আগে থেকেই বিশ্লেষণ করতে হবে। বিপ্লবের পর বিপ্লবের ফল ছিনতাই হয়ে যায় কিনা, সেটাও ভাবতে হবে। সুতরাং, রাষ্ট্রীয়
সংকট বা সাংবিধানিক সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যাতে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিতে না পারে।তিনি রবিবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং আমাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা জনতার দাবি। এই সিদ্ধান্ত সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং সবাই এটি গ্রহণ করেছে।
তিনি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়ার দাবি উল্লেখ করে বলেন, গুলি করে ছাত্র মারার পর আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে কিনা, তা জনতার আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, শুনেছি ট্রাইব্যুনালে একটি সংশোধনী আনার কথা। সংগঠন হিসাবে, রাজনৈতিক দল হিসাবে যদি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রধান তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও দলের বিচার হবে। যদি এই সংশোধনী আইন আনে এবং ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়, তবে সেই বিচারের ফলাফল কী হবে, তা দেখা যাবে। তিনি বলেন, আমরা এখন কোনো ফয়সালা দিতে চাই না। গণহত্যাকারী কোন দল বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কিনা, তা আদালত ও দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রশাসনিক আদেশে বা ব্যক্তিগত ইচ্ছায় কাউকে নিষিদ্ধ করা আমাদের দায়িত্ব নয়। দেশের জনগণ যদি চাই, তাহলে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নেবে।
২৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫