জাতীয় শহিদ সেনা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিনি বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় নিহত শহিদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর
প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহিদ পরিবারের সদস্যরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, আজ পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিভীষিকাময় অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। এ বছরই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবস পালিত হচ্ছে।
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডিতে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এবং তাদের লাশ গুম ও পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। শহিদ পরিবারের সদস্যদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রথম বড় ধরনের আঘাত হিসেবে মূল্যায়ন করেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পর এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা একসঙ্গে নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
২৩ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫