ধামরাইয়ে প্রেমিকার শয়নকক্ষ থেকে আমিনুর রহমান (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিকাসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কফিল উদ্দিনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত আমিনুর রহমান ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে পেশায় অটোরিকশা চালক।
আটককৃতরা হলেন- একই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের বাসিন্দা
প্রেমিকার পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আমিনুর রহমান আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃতের পরিবার বলছে, তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার পরিবার।
মৃতের ভাতিজা সুজন আহমেদ বলেন, রাত ১০টার দিকে আমিনুর রহমানের প্রেমিকা আমাকে ফোনে আত্মহত্যার খবর দেয়। আমরা পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেই। আমার চাচাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে তরুণীর পরিবার জড়িত। আমরা মামলা করব।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে কল দিয়ে ওই যুবককে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় তার প্রেমিকা। এরপর রাত ১০টার দিকে ওই প্রেমিকা মৃতের ভাতিজাকে ফোন করে জানায় তার বাড়িতে গিয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, মরদেহের গলায় ফাঁস নেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের প্রেমিকা ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২৫ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
.jpeg)
