Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, মঙ্গলবার, জুলাই ২২, ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

লিড নিউজ

মিন্নির জামিন আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায়

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৩ দিন আগে মঙ্গলবার, জুলাই ২২, ২০২৫
# ফাইল ফটো

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেবেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান

খান, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

গত ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন করেন। তখন জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন বেঞ্চ।

এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নি খালাস চেয়ে আপিল করেন।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অন্য চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য একই বছরের ৪ অক্টোবর (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। খালাসপ্রাপ্ত ৪ আসামি হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড একই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

১৩ দিন আগে মঙ্গলবার, জুলাই ২২, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন