জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩০ কেজি করে চাল ৪৫০ টাকায় বিতরণে কথা থাকলেও বস্তা থেকে ৫ কেজি করে চাল উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে । তবে এর দায় নিচ্ছেন না কেউ। ডিলারদের নিকট প্রতিবাদ করে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা সুবিধাভোগীরা।
অসহায় কার্ডধারীরা অনেকটা বাধ্য হয়েইন৩০ কেজির স্থলে
গত সোমবার উপজেলার চরপুটিমারী, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৮টি ডিলার পয়েন্টে সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রতিবস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে ২৫কেজি চাল। সুবিধাভোগীরা এ ঘটনায় ডিলারদের সাথে নানা প্রশ্ন তুলে এবং সরকারি বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি চাল পেতে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে কোন সুফল পায়নি বলে অভিযোগ করেন।
চরগোয়ালিনীর ২৭১নং কার্ডধারী জাদু সেক, ১৬৭৩ নং কার্ডধারী করফুলি, চরপুটিমারীর ১৪৬নং কার্ডধারী শফিকুল ইসলাম, ২০৭১ মোছা সেকসহ একাধিক কার্ডধারী বলেন, ৩০কেজি চাল দেওয়ার কথা কিন্তু প্রতি বস্তায় চাল হচ্ছে ২৫ কেজি।
চেয়ারম্যান-মেম্বার ও সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোন লাভ হয় নাই। তারা বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের কথা কে শুনে। বাধ্য হয়েই ঘাটতি বস্তা নিতেছি।
জানা যায়, খাদ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ইসলামপুর উপজেলায় ৫৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৩৯৯ জন সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিলার শফিকুল ইসলাম, চরপুটিারীর আরাকানুজ্জামান, আবু রায়হানসহ কয়েক জন ডিলার বলেন, গুদাম থেকেই ২৫-২৬ কেজি ওজনের বস্তা দেওয়া হয়েছে। এখানে আমরা কি করবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন সমাধান পাচ্ছি না ।
স্থানীয় মোস্তুফা কামাল ও মুখলেছুর রহমানসহ অনেকে বলেন, ডিলার ও সংশ্লিষ্টরা দায় না নেওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় দরিদ্র ভুক্তভোগীরা।
ডিলারদের অভিযোগ পাত্তাই দেননি ইসলামপুর উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গুদাম থেকে এক গ্রাম চালও কম দেওয়া হয় না।
২৪ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫