কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সাংবাদিকরাও এর ব্যতিক্রম নয়। সাংবাদিকরা এলিয়েন বা ভীনগ্রহের কোন প্রাণী নন যে তারা আইনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
মতিউর রহমানের দায়িত্ব তার প্রতিবেদকের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। একজন প্রতিবেদক সংবাদ সংগ্রহ করে, কিন্তু প্রকাশ করা বা না করার দায়িত্ব সম্পাদকের। সংবাদ ছাপানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকে সম্পাদকের কাছে।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান
সাংবাদিকতার কিছু নীতি-নৈতিকতা আছে; সাংবাদিকদের উচিত সেগুলো মেনে চলা এবং নিজেদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রাখা। সংবাদকে অবশ্যই সত্য হতে হবে; মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া কোনো কিছুই সংবাদ হতে পারে না। সংবাদ তৈরিতে মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া একটি অপরাধ এবং এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা উচিত। এই আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা অবৈধ এবং কারো কাছেই তা কাম্য নয়।
সাংবাদিকরা কোনো ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত অপরাধের পক্ষপাতী হতে পারে না। অনেকেই দাবি করেন, সাংবাদিকদের নাকি গ্রেফতার করা উচিত নয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করার আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন- এই অজুহাতে কোনো দল বা পেশার কোনো ব্যক্তি যদি দায়মুক্তির সেই সুযোগ পান, তাহলে ঐ পেশার ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। উপরন্তু এ ধরণের প্রশ্রয় পেয়ে সাংবাদিকরা হয়ে উঠবে বেপরোয়া।
সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ- এটা ভালোভাবে জেনেও মানুষ এ পেশায় আসছেন। সিপিজে এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড সংখ্যক সাংবাদিক তাদের কাজের জন্য কারারুদ্ধ হয়েছেন। তারপরেও তারা কি সাংবাদিকতা করছে না? তারা কি সাংবাদিকতা ছেড়ে দেবে? নাকি তাদের গ্রেফতার না করার অধিকার আদায়ে মিছিল বের করবে?
সাংবাদিকদের বিশেষ সুবিধা ভোগ করা উচিত- এটি খুবই হাস্যকর একটি ধারণা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার উদাহরণ রয়েছে, তাহলে দেশের সাংবাদিকরা অপরাধ করলে কেন বিশেষ সুবিধা পাবে?
১৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫