ইন্টারপোলের রেড নোটিশে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ফেসবুক লাইভের বক্তব্যে সন্ধিহান পুলিশ। আরাভ খান আইডি থেকে লাইভে এসে ইন্টারপোলের কারাগারে ১ মাস ৭ দিন থাকা এবং পুলিশের একাধিক চেষ্টার পরও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন। তবে পুলিশ সদর দফতর বলছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল এবং
সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলছেন, ‘রেড নোটিশ জারি থাকা কোনও অপরাধীকে সরাসরি ইন্টারপোল কাস্টডিতে নেয় না।’সূত্র বলছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি থাকার পর সেই অপরাধীকে সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অপরাধী অবস্থান করা দেশের পলিসির ওপর নির্ভর করে। ইন্টারপোল সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে রেড নোটিশ জারির বিষয়টি জানায়। সেই অপরাধীর ওপর নজর রাখার বিষয়টি অবহিত করে।
সূত্র আরও জানায়, ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে অবস্থান করছে আরাভ। দুবাই পুলিশ তাকে ফেরত দেবে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
রেড নোটিশ জারি থাকা অবস্থায় ইন্টারপোল দুবাইয়ে অবস্থানরত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে ইমেইল করা হলে ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও উত্তর মেলেনি।
রেড নোটিশ জারি থাকা কোনও অপরাধীকে ইন্টারপোল সরাসরি কাস্টডিতে নেয় না উল্লেখ করে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, ‘কোনও অপরাধী যে দেশে অবস্থান করে সে দেশের পুলিশের সহায়তা চায় সংস্থাটি। কেউ যদি বলে থাকেন ইন্টারপোল কাস্টডিতে নিয়েছে তা মিথ্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।’
পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি মনজুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি থাকা পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাফ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা কাজ করছে।’
১৯ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫