এবারের নির্বাচন বানচালের জন্য দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে দেশবাসী আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, সব বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, ভোট দিয়েছে। এজন্য আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা
আজ বুধবার বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল এই জনসভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে দারিদ্রের হার কমেছে, মানুষের আয় বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এরপরও কিছু দালাল শ্রেণির লোক আছে যাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য একটি মহল চক্রান্ত করেছিল। হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পুড়িয়ে মারা, অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করা, পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে মারা মানুষ দেখেছে। জনগণ যাতে নির্বাচনে ভোট না দেয়, সেজন্য লিফলেট বিলি করে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখার চেষ্টাও তারা (বিএনপি) করেছে। আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের কোনো কিছু ছিল না। থাকার ঘর ছিল না, বাড়ি ছিল না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল এ দেশের মানুষ। সেই জাতির জন্য, তাদের ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। অনেক সংগ্রাম ত্যাগের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসেছিলেন এই বাংলাদেশে। সবার আগে ছুটে এসেছিলেন এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যেখানে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য।
১০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫