যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে এবং এসব স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে এবং এখনও গণকবরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। জুলাই-আগস্টের
গণবিপ্লবের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে একটি অধ্যায় যোগ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘শহিদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "এই মাঠের নামকরণ করা হয়েছে শহিদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে শহিদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম, টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামের নাম হয়েছে পুলিশের গুলিতে শহিদ হওয়া মারুফের নামে। মোট ২২০টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে এবং এ স্টেডিয়ামগুলোর নাম শহিদদের নামে নামকরণ করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "শহিদের ত্যাগ এবং রক্তের মূল্য কখনো পরিশোধ করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্মান প্রদর্শন সম্ভব, সেটি আমরা করার চেষ্টা করছি।"
পাঠ্য বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, "আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, পরবর্তী বছরের পাঠ্যপুস্তকে যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে এবং শহিদদের গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি। এই প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হচ্ছে। তবে ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকে, সময় স্বল্পতার কারণে, তা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে, ওই পাঠ্যপুস্তকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধ্যায় থাকবে এবং সেখানে শহিদদের স্মৃতি কথা লেখা থাকবে।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদের আত্মত্যাগ যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখব।"
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ (এফসিএমএ), শহিদ ফারহান ফাইয়াজের মা মিসেস ফারহানা দিবা।
৪ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫