‘নববর্ষের ঐকতান, নতুন দিনের আহ্বান’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে পহেলা বৈশাখ। বর্ণিল আয়োজনে সেজেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব। রঙ-বেরঙের শিল্পকর্ম, মুখোশ ও ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে অংশ নিয়েছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। হাজারো মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনায় মুখরিত হয়েছে ঢাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারুকলা প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে
ভরা। ভোর থেকেই জনসমাগম শুরু হয়। রমনা পার্ক, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের এলাকায়ও ছিল মানুষের সমাবেশ। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং নানা বয়সী মানুষ। বিদেশি পর্যটকরাও এতে যোগ দিয়েছেন।এবারের শোভাযাত্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতি ও প্রকৃতির নানা রূপ ফুটে উঠেছে মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ বিভিন্ন শিল্পকর্মে। এছাড়াও স্থান পেয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানা প্রতীক।
চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শাহবাগ হয়ে টিএসসি, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলায় ফিরে আসে। এবার শোভাযাত্রার নিরাপত্তায় প্রথাগত কড়াকড়ির বদলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না হলেও শহরের অন্যান্য স্থানে নববর্ষের আয়োজন সন্ধ্যাতেও চলবে।
বিগত বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে আজ বাঙালির নতুন আশা ও স্বপ্নে জেগে ওঠার দিন। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ঘরে ঘরে আজ উৎসবের আমেজ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত।
আজ পহেলা বৈশাখে বাংলার মানুষ তাদের প্রাণের উৎসবে মাতবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নববর্ষের আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে। বাংলা বর্ষ ১৪৩১-এর সকল অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সবাই গাইবে—‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো!’
গ্রাম থেকে শহর, পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায় আজ বাঙালির হৃদয়ে দোল খাবে নতুন বছরের জয়গান।
৫ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫