ইসরায়েলে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরো বেড়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাত এবং তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এই দামবৃদ্ধি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দাম নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ
সূচক ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ৬৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। এ ছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার ৭২ সেন্ট বা এক দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭০ দশমিক ৮২ ডলারে দাঁড়িয়েছে।ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়লে হরমুজ প্রণালির শিপিং কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে। ওমান ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এই শিপিং রুট দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ করা হয়। ওপেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাক তাদের রপ্তানিকৃত বেশিরভাগ তেল এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে বিশ্ববাজারে পাঠায়।
ইস্ট ডেলি অ্যানালিটিকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম সিম্পসন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরানের হামলার পর তেলের দাম কিছুটা বেশি থাকতে পারে বা আরও বেশি অস্থির হতে পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশ্ববাজারে যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে এবং উৎপাদন পর্যাপ্ত।
গত মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে ইসরায়েল সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নেয়। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকেও একই সুর শোনা যাচ্ছে, তারা বলছেন, নেতানিয়াহু নির্দেশ দিলে পাল্টা হামলা হবে।
১৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫