মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর প্রশাসন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর ওয়াশিংটনের
নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে।বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানতে পারে। এটিএসিএমএস রকেট ব্যবহার করে ৩০৬ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে ইউক্রেনের।
বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম রসিয়স্কায়া গাজেটা জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উত্তেজক এবং বিপর্যয়কর পরিণতির ঝুঁকি তৈরি করবে।
ক্রেমলিন-পন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান লিওনিদ স্লুটস্কি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সংঘাতকে আরও গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে। রুশ সিনেটর ভ্লাদিমির জাবারভ একে "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথে একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ" বলে উল্লেখ করেছেন।
টেলিগ্রামে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্য আন্দ্রি ক্লিশাস সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমাদের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এখনও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত সেপ্টেম্বরে পুতিন বলেছিলেন, ন্যাটোর এ ধরনের পদক্ষেপ রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এবং রাশিয়া তার প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না এবং ক্ষমতায় ফিরে এলে এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করবেন।
এ অবস্থায়, ক্রেমলিন বাইডেনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিকল্পনা করছে।
২ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫