বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কিছু ব্যক্তি তাদের বক্তব্য এবং বিবৃতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা সঠিক নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার সরকারের রয়েছে, সুতরাং বিএনপির উপর দায় চাপানো দুঃখজনক।
রোববার (১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
রিজভী আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল, তখন বিএনপি প্রতিবাদ জানিয়ে ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা সহ অন্য উপদেষ্টাদের এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না, যা গণতান্ত্রিক শক্তি দুর্বল করতে পারে বা দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। জনগণের আস্থা অর্জন এবং সেই আস্থায় থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তিনি উল্লেখ করেন, হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বৈরাচারবিরোধী জাতীয় ঐক্য এবং সরকারের কাজ বা কথায় যেন ঐক্যে ফাটল না ধরে, সেদিকে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
রিজভী বলেন, দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর কুখ্যাত গণতন্ত্রের ঘাতক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের শান্তি এবং স্বস্তির অভাবনীয় দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণের সম্ভাবনায় জন উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারত সরকার এবং উগ্রবাদী বিজেপি নেতারা বক্তব্য ও হুংকার ছড়াচ্ছে। কলকাতায় বিএনপির উপ হাইকমিশনে উগ্রবাদী হিন্দুরা আক্রমণ চালিয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে ভারতীয় গোয়েন্দারা আওয়ামী লীগ এবং বিশেষ কিছু গোষ্ঠীকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সেই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এসেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, এর প্রমাণ সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) করা একটি জরিপে পাওয়া গেছে। জরিপে ৬৪.১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই জরিপ কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান করেনি, বিদেশি প্রতিষ্ঠান করেছে, তাই এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরং ভারতসহ অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
১৯ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
