চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত
দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস এবং রাজীব ভট্টাচার্য।এছাড়া, আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই খানে আলম।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি আরও বিস্তৃত।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের একটি ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ওম দাশ, চন্দন ও রনব। তার নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার পরও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন অন্যরা। ঘটনাস্থলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর এবং রাজীব ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে তার অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
২০ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫