অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, খুব কম শুনতাম দুর্নীতি। দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে আমরা দূর থেকে, আমার বাবারাও এভয়েড করতো। যে লোকটা করাপশন করে, দূরে থাকি। ইভেন ছেলেমেয়ে বিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করতো। এখন তো আমরা লাফ দিয়ে চলে চাই বিয়ে দিতে, দুর্নীতিগ্রস্তের সঙ্গে। দুর্নীতি কোনো ব্যাপারই না, টাকাপয়সা আছে, ওকে।’
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক
দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ড. সালেহউদ্দিন বলেন, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সবচেয়ে বড় জিনিস। আমি একটা কাজ করব, সেটা কেন করছি, কার জন্য করছি সেও জানবে৷ আর অ্যাকাউন্টেবিলিটি (জবাবদিহিতা) থাকতে হবে।
শাস্তি দিয়ে দুর্নীতির ক্ষতিপূরণ হয় না উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই যে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলো তাদের শাস্তি কী দিবেন? সারাজীবন জেলে থাকলেও তো শাস্তি হবে না, দেশের ক্ষতি পূরণ হবে না।
দুর্নীতিবাজদের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা বেশি ‘স্মার্ট’। তারা ব্যাংকারের চেয়েও বড় ব্যাংকার। তারা দুর্নীতি করার জন্য নানা উপায় বের করে। তারা অতিরিক্ত ‘স্মার্ট’। তাদের বিলাসী জীবনে পরিচিতরা হতাশাগ্রস্ত হয়।
এছাড়া, বর্তমানে দুদকের বর্তমান ভূমিকায় দুর্নীতিবাজদের মনে ভয়ের কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি দুদকের ভালো দৃশ্যমানতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
৫ দিন আগে সোমবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
