সেরা ডাক্তাররা কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন এক মাসের বেশি সময় নিয়ে রাজধানীর দুজন শীর্ষ ডাক্তারকে নিয়ে সরকারি তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান করেছে দেশের জাতীয় পত্রিকা কালের কণ্ঠ। তাঁদের মধ্যে একজন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
সেরা করদাতার আড়ালে কর ফাঁকি: স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসকদের একজন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। নাক কান গলা বিভাগে পেশাগত
দক্ষতা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন তিনি। বড় অঙ্কের আয় থাকায় করও দিয়েছেন বেশি। টানা আটবার পেয়েছেন সেরা করদাতার খেতাব। তবে সেরা করদাতার আড়ালে তিনি ছিলেন একজন কর ফাঁকিবাজ। সম্প্রতি এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) অনুসন্ধানে তাঁর করনথিতে এফডিআরের তথ্য গোপনের চিত্র উঠে আসে। কর ফাঁকি প্রমাণিত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কর ফাঁকির এক কোটি ৭২ লাখ টাকা পরিশোধও করেন তিনি। এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান চলছে বলে জানা গেছে। বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কারচুপির নির্বাচনে দুবার এমপি হয়েছিলেন প্রাণ গোপাল। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এনবিআরের সামনে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়কর খাতের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর খাতেই ঘাটতির পরিমাণ ছয় হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। এই ঘাটতির পেছনে অনেক কারণের মধ্যে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি শীর্ষে।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র গবেষণা সহযোগী তামীম আহমেদ বলেন, ‘শুধু টপ প্রফেশনের না, সাধারণ মানুষ হিসেবে সবারই কর দেওয়ার বিষয়ে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। কর ব্যবস্থায় তদারকি দুর্বল থাকায় অনেকেই এই সুযোগটা নিচ্ছেন। যারা ফাইল দেখছেন ঘুরেফিরে বারবার একই ফাইল দেখছেন। এ ক্ষেত্রে একটা স্ট্রাকচার ফলো করলে কর ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা কমে যেত। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকৃত আয় কমিয়ে দেখানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই দণ্ডবিধির আওতায় কিছু ব্যক্তিকে শাস্তি দিলে তা উদাহরণ হয়ে থাকত। ধরা খাওয়ার ভয়ে কেউ কর ফাঁকি দিত না।’
৯ ঘন্টা আগে সোমবার, নভেম্বর ৩, ২০২৫
