সরকার আবারো আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আগের খেলায় মেতে উঠেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো বিরোধীদলকে মাঠ শূন্য করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। মামলা, সন্ত্রাস, গায়েবি মামলা দিয়ে মাঠশূন্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ মে) গুলশান কার্যালযয়ে বিএনপি'র সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় মহাসচিব জানান, আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে মামলাগুলো
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশবাসী যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তখন অলিক কথা বলে মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে সরকার বলেও অভিযোগ মির্জা ফখরুলের।
আন্দোলন নস্যাৎ করতে হীন উদ্দেশ্যে এসব করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একতরফা সিটি নির্বাচন ঘোষণার পর সারাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। ঢাকাতে এরইমধ্যে পনেরোশো মামলা দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আবারো সাজা দেয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।
দশ দফা মেনে নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, নয়তো আন্দোলনেই ফয়সালা। বিরোধীদলকে রাজনীতির মাঠশূন্য করে নীল নকশার নির্বাচন করতে চায়। এবার আর পারবে না, আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হচ্ছে, শিগগিরই ঘোষণা।
বিএনপি বিদেশীদের কাছে কখনো নালিশ করে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিদেশীদের সাথে বৈঠক নিয়মতান্ত্রিক আলোচনা। ২০১৮ সালে সংলাপে একটিও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি সরকার। এবার তাদের আলোচনার বিষয়ে জনগণ আর বিশ্বাস করে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত সরকারের বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৬ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫