Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সারাদেশ

পুলিশ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন সমন্বয়ক নন: সারজিস

ডেস্ক রিপোর্ট:
৭ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো





নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিনজন সমন্বয়ক নয়, এমনকি তারা নিয়মিত আন্দোলনকারীও ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।


রোববার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে সারজিস আলম এ মন্তব্য করেন।


তিনি লিখেছেন, গ্রেফতার হওয়া ছেলেগুলো স্থানীয় কিশোর গ্যাং

'বুলেট গ্যাং'-এর সদস্য। তাদের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলেই নামের সামনে 'বুলেট' ট্যাগ দেখা গেছে।


সারজিস তার পোস্টে লেখেন, "যে তিনজন ছেলেকে গ্রেফতার করা নিয়ে আলোচনা চলছে, তাদের গ্রেফতার করার মূল কারণ ছিল তাদের মধ্যে একজন সেদিনের লুট করা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে টিকটকে পোস্ট দিয়েছিল। সেই ছবি দেখে স্থানীয় জনগণ পুলিশকে অবহিত করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও দুজনের নাম প্রকাশ করে এবং এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার সাথে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।"


ফেসবুক পোস্টে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগও করেন সারজিস। তিনি লেখেন, "এখনো বিভিন্ন থানায় কিছু পুলিশ সদস্যের ঘুষ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মিথ্যা মামলার চাপ প্রয়োগের খবরও শোনা যাচ্ছে। এত রক্তপাতের পরও যারা এখনও ঘুষ গ্রহণ করছে, তারা শহীদদের রক্তকে অপমান করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জনগণ পুলিশের প্রতি আস্থা রাখতে চায়, কিন্তু সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে পুলিশের নিজেদের কাজের মাধ্যমে।"


এর আগে গত শনিবার পুলিশ সদস্য ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তিন কিশোর ও তরুণকে গ্রেফতার করার কথা গণমাধ্যমকে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।গ্রেফতাররা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাপুয়া গ্রামের ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যারবাগ গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (১৬) ও জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন ইমন (২২)।


এসপি বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ সদস্য কনস্টেবল ইব্রাহিমকে পিটিয়ে এবং সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) বাছিরকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আসামি গ্রেফতারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছিলাম। এরমধ্যে ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্রেরসহ পোস্ট দেখে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তারা আদালতে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনা শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

৭ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন