কভিড-১৯ এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো নড়েচড়ে বসেছে৷ উন্নয়নের ডাক্তাররা সেল্পপ্রেস্কিপশনে ব্যস্ত। স্বাস্থ্য সংস্থার অস্বাস্থ্যকর ভূমিকায় হতবাক দুনিয়া। মোটাদাগে সারা পৃথিবীর মানুষ উপলব্ধি করলো পরিবেশ বাঁচাও৷ প্রাণপ্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়নের বিল্ডিংয়ে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে, রুখে দাও এখনি, নাও যুগোপযোগী উদ্যোগ৷ এই যে প্রয়োজনের প্রতিধ্বনি তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পরিবেশে। প্রকৃতি যেন আবার বাঁচার স্বপ্ন দেখলো। পৃথিবী সবুজ হওয়া শুরু করলো কিন্তু তা হলো না দীর্ঘস্থায়ী। টেকসই উন্নয়নের ধ্বজাধারীরাই আবার ধ্বংসলীলায় মেতে উঠলো।
বাংলাদেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে অপার সম্ভাবনাময়ী এক খন্ড ভূমি৷ 'বাংলাদেশ' শব্দ হৃদয়ে ধ্বনিত হলে চোখের সামনে ভেসে উঠে কুপির আলো জ্বেলে দোল খেতে খেতে উচ্চ শব্দে পড়তে থাকা শৈশব - 'আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। এদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই মাতৃভূমি। এদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল পাট। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। এদেশের অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল।.... পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গাভী, গোলা ভরা ধান........ ' মা পাশে বসে বসে পাহারা দিতেন শৈশব।
গত দুই দশক আগের কথা। এ সময়ে আমরা এগিয়েছি অনেক। জিডিপি বেড়েছে, মাথাপিছু আয়, রিজার্ভ, চোখধাঁধানো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি সূচকে আমরা এগিয়েছি বহুশত গুন। শুধু হারিয়েছি বইয়ের কালো অক্ষরের মুক্ত নিশ্বাস। সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা পরিবেশ। গ্রাম থেকে শহর শুধু চলছে উর্ধ্বমুখী যাত্রা। পেছনে তাকানোর সময় নেই আমাদের। কিন্তু এই যাত্রা কতটা টেকসই তা পরখ করে দেখার সময় এসেছে বৈকি। টেকসই উন্নয়নের সবক বইয়ের পাতা থেকে বের করে এনে বাস্তবতা আর বাস্তবায়নের খাতায় যুক্ত করা সময়ের দাবি।
রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর একটি৷ এই দূষণ ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছড়িয়ে পড়েছে শহর, উপশহর, মফস্বল এমনকি প্রাণের স্পন্দন সহজ সরল জীবনাচার তথা গ্রামের বুকেও।
সম্প্রতি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলাস্থ ৭ নং হেসাখাল ইউনিয়নে টায়ার ও পলিথিন রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন সচেতন জনমনে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান এখানেই প্রথম তা নয়। ফেনী, বগুড়া, দিনাজপুরসহ দেশে শতাধীক কারখানা রয়েছে। কিছু কারখানা প্রশাসনের নাকের ডগায়, এটাকে অনেকে রসিকতা করে ছত্রছায়ায় বলে, সে যাইহোক। পত্রিকা বরাতে জনমনের যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা কলমের আঁচড়ে ফুটে উঠেছে, বাস্তবচিত্র তার চেয়েও বেশি বিভৎস ও করুণ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়েস্ট ম্যানেজমম্যান্ট নিয়ে চোখ ধাঁধানো পরিবেশবান্ধব দারুণ সব কাজ হচ্ছে। আমাদের দেশে উদ্যোক্তারা অনেকে উদ্যোগী হচ্ছেন, এটা আশার এবং আশঙ্কার দিক। অতিরিক্ত মুনাফালোভীদের জন্য আশার চেয়ে আশঙ্কার মাত্রা ছাপিয়ে যায় বহুগুণ। 'ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশে টায়ার রিসাইক্লিং করা হয় উন্নত প্রযুক্তিতে। তবে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার না করায় সম্প্রতি ২৭০টি কারখানার বন্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ কন্ট্রোল বোর্ড।এই খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিমাসে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন পরিত্যাক্ত টায়ার রিসাইক্লিং করে যোগান দেয়া হচ্ছে ২৫ লাখ লিটার জ্বালানী তেল। তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, দূষণ নিরোধক প্রযুক্তি নিশ্চিত করেই চালু রাখার কথা ভাবতে হবে এই খাত।'(১)বিশ্বের পেটমোটা অর্থনীতির দেশগুলো যখন পরিবেশ সুরক্ষার শঙ্কায় বন্ধ করে দিচ্ছে টায়ার রিস্লাইকিং প্রক্রিয়া, তখন মাথামোটা আমরা প্রবৃদ্ধি গুনি ঘুমের ঘোরে।
এবার আসুন কিছু লাভ ক্ষতির হিসেব কষি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-তে 3R খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 3R হলো Reduce – বর্জ্যের পরিমান হ্রাস ; Reuse – পুনর্ব্যবহার ; Recycle – পুনর্নবীকরন। এ নিয়ে দারুণ সব গবেষণা হয়েছে দেশে এবং দেশের বাহিরে।
টায়ার, প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং এ আমাদের লাভের পাল্লায় দেখা যায় -
*পরিত্যক্ত টায়ার পুনঃব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করা ছাড়াও পুড়িয়ে মূল্যবান জ্বালানী তেল বের করা হচ্ছে। সেই সাথে উৎপাদিত হচ্ছে ছাপার কাজে ব্যবহারযোগ্য কালি। বাজারের ফার্ণেস অয়েলের তুলনায় টায়ারের অয়েলের উৎপাদন খরচ অনেক কম। তাই এ তেলে লাভ অনেক বেশি থাকবে। এ ধরনের একটি কারখানা থেকে দৈনিক গড়ে ৩-৪শ’ লিটার জ্বালনি তেল উৎপাদন সম্ভব। অব্যবহৃত পুরাতন টায়ার গলিয়ে তৈরি হচ্ছে ফার্ণেস অয়েল যা কলকারখানা, যানবাহন ও অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় ব্যবহার করা যায়। ফার্নেস ওয়েলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশেই যদি টায়ার থেকে তেল উৎপাদনের এই শিল্পকে বিকশিত করা যায়, তাহলে একদিকে যেমন সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে না, অন্যদিকে তেমনি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। সেইসঙ্গে সচল হবে দেশের অনেক বন্ধ হয়ে থাকা কারখানা ও শক্তিশালী হবে দুর্বল ভারী শিল্প কারখানা।(২)
*টায়ার পোড়ানোর কালো ধোঁয়া আটকে তা থেকে কালি তৈরি করা হয়। এটি কম্পিউটারের কালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও টায়ারের অবশিষ্টাংশ থেকে তার(wire) বের হয়। সেটি রড ফ্যাক্টরিতে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া জমিসহ বিভিন্ন স্থানে পলিথিন জমে যে পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতো, তা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। (০৩)
* কর্মসংস্থান সৃষ্টি * দেশের অভ্যন্তরিন জ্বালানি তেলের যোগান সরবরাহ * প্রবৃদ্ধি অর্জন ইত্যাদিতে লাভবান হওয়ার কার্যত যুক্তি আছে।
কিন্তু মুদ্রা উল্টাপিঠও তো বিবেচ্য বিষয়। সৈয়দ মুজতবা আলী তার বিলেতের অভিজ্ঞতায় ভৃত্য আব্দুর রহমান সম্পর্কে লিখে - 'কুইনিন যদি জ্বর সারাবে, তবে কুইনিন সারাবে কে? ' আসুন দেখি এ পিঠের উন্নয়নের ছাপ মুদ্রার অপর পিঠে কতটুকু পড়েছে।
'কারখানায় টায়ার পোড়াতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এই কাঠের জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন। টায়ার পোড়ানোর কারণে ঘনকালো ধোঁয়া ও উৎকট গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। টায়ার পোড়ানো কারাখানার ধোঁয়ার কারণে গাছপালা মারা যাচ্ছে। এছাড়া, উৎকট গন্ধে চারপাশের পরিবেশ হয়ে উঠছে বসবাস অনুপযোগী। আবার দেখা যায়- কারখানার আশেপাশের জমির ফসলে বিশেষ করে ধান থেকে প্রাপ্ত চালে হয় দুর্গন্ধ। সেই চালের ভাত খাওয়া যায় না। অন্যদিকে, কারখানার বর্জ্য নদীতে, খালে পুকুর ডোবায় যাওয়ায় মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।’ (৪)
* উৎপন্ন বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের ঘর-বাড়ি গাছপালা বিবর্ণ হয়ে যায়। গাছের ফলগুলো অকালে ঝরে যায়। কারখানার পোড়া তেলে কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন হতাশাজনক।
মাটির উবর্তার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পরিত্যাক্ত টায়ার। তাই রিসাইক্লিং করাটা আপাতত দৃষ্টিতে শুভ কাজ বটে। কিন্তু বায়ু দূষণের প্রশ্নে তা কতটুকু পরিবেশ সম্মত? বাংলাদেশে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা না থাকলেও থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিডা-এর এক গবেষণা বলছে, টায়ার পাইরোলাইসিস কারখানা ১৬ ধরণের বায়বীয় রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। যার মধ্যে মিথেন ৩৩.২ শতাংশ, হাইড্রোজেন ১৫.৬, নাইট্রোজেন ১২.২ এবং কার্বন মনোঅক্সাইড ৪ শতাংশ। যা বাতাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্যান্সারসহ, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত নানা জটিল রোগ সৃষ্টি করছে।'(৫)
* পুরাতন টায়ার-টিউব পোড়ানোর ফলে কালো ধোয়া নির্গমণ হয়। এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এটি পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। অন্যদিকে লোকালয়ে কারখানা স্থাপন হলে মানুষ বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, বমি বমি ভাবসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যার কারণে জনস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। (৬)
* মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড যা পোড়ানো টায়ার, পলিথিন বা প্লাস্টিক থেকে সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড (CO) গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়।এই বিষক্রিয়ার দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা বোধ করা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, এবং নড়াচড়ায় সমস্যা হওয়া। যারা ধোঁয়া গ্রহণের স্বীকার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বিবেচনা করা প্রয়োজন। (৭)
বাংলাদেশ ; হেনরি কেসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বুকে এক অনন্য স্থান দখল করে নিয়েছে৷ সমস্যা এবং সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে হাঁটছে উন্নয়নশীল দেশের পথে। যত সামনে এগোবে তত নানামুখি চ্যালেঞ্জ ঘিরে ধরবে। তাই বলে অগ্রযাত্রা থেমে থাকার সুযোগ নেই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পরিবেশগত বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী।
পেছনে তাকালে দেখবো - '১৯৭০সালে বাংলাদেশে মাথা পিছু কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ছিল ০.০৫ টন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে মাথাপিছু ০.৬৬ টন। প্রতিবছর এই বৃদ্ধির হার ৫.৪৮ শতাংশ। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে
সর্বমোট কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ছিল ৩.৩ মিলিয়ন টন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১০.২ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ বর্তমানে প্রতি বছর এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৭.৫৪ শতাংশ। এ কথা এখন সর্বজনবিদিত যে, বাতাসে উচ্চ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকার কারণে বাংলাদেশে বহু জায়গায় ফসলের সমূহ ক্ষতি বেড়ে গেছে। ধানে চিটা ধরে তা অখাদ্য হয়ে পড়ছে। আর ইট ভাটার চারদিকে বসবাসকারী মানুষগুলোর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তো কল্পনাই করা যায় না। '(৮)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটস্থ হেসাখাল ইউনিয়নের মতো সারাদেশে পরিবেশ ধ্বংসকারী এমন কার্যক্রম বিস্তার করবে দ্রুতই, যদি না এখনই এগুলোর লাগাম টেনে ধরা হয়। গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ধুঁয়া তুলে যারা অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার আশায় প্রাণ প্রকৃতির বুকে ছুরি চালায়, তাদের প্রতিরোধ করা সময়ের দাবি।
তথ্যসূত্র -
১. চলছে টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল তৈরির ব্যবসা, বাতাসে ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক ||২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ - চ্যানেল ২৪
২.টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানী তেল তৈরীর ব্যবসায় আয় ৩ থেকে ৫ লাখ! ||YSSE
৩. পরিত্যক্ত পলিথিন-প্লাস্টিক-টায়ার থেকে কালি ও তেল উৎপাদন -০৩ জানুয়ারি ২০২০ || বাংলা ট্রিবিউন
৪. টায়ার পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত পরিবেশ | ৪ ডিসেম্বর ২০২১ ; বাংলাদেশের খবর
৫. চলছে টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল তৈরির ব্যবসা, বাতাসে ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক ||২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ - চ্যানেল ২৪
৬. টায়ার-টিউব পোড়ানো ধোঁয়ার গন্ধে নাকাল মানুষ- ২ আগস্ট ২০২১ || জয়যুগান্তর
৭. উইকিপিডিয়া
৮. কার্বন ডাই-অক্সাইডে বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ||মুনীর সিরাজ [৫ মে, ২০২১]ববৈচিত্র্য ||মুনীর সিরাজ [৫ মে, ২০২১]
-লেখক: মোঃ শাহাদাত হুসাইন
শিক্ষার্থী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, চবি
২২ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫