বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া প্রেতাত্মা ও দোসররা এখনো যায়নি। তারা প্রশাসনের বিভিন্নক্ষেত্রে অবস্থান নিয়ে পাতানো পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ায় তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর গবেষক আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন তিনি।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার নিষ্ঠুরতা, যে রক্ত স্রোত বইয়েছে; সেক্ষেত্রে যে সব নেতা ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা দায়ী তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য এক ধরনের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে তাদের পাসপোর্ট দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যাদের অপরাধের অভিযোগ আছে কিংবা অপরাধী হতে পারে তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেতে পারে না। এর মানেই হলো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা লোকরা শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়নে তারা নানা পরিকল্পনা করছে।
রিজভী বলেন, জনগণের ওপরে কোনো শক্তি নেই। নতুন করে যত ষড়যন্ত্র করা হোক এরা পরাজিত হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরবে। পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে দেশ পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এটাকে কাদা ছোড়াছুড়ি বলা যায় না। এই গণতন্ত্রের জন্যই ১৬ বছর ধরে এত আন্দোলন সংগ্রাম। গণতন্ত্রের এই মূল চালিকাশক্তিকেই শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিল।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিত পার্লামেন্ট ছাড়া আগে থেকে কোনো কিছুকে আইন হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। তাহলে যে আইনের শাসনের জন্য লড়াই করা হয়েছে সেই আইনের শাসনের লড়াইয়ের চেতনাকে ব্যাহত করা হবে।
শিক্ষার্থী নাবিল সম্পর্কে তিনি বলেন, কিশোর বয়সে তার উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা অবিশ্বাস্য। তার প্রতিভার সন্ধান পেয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পরে তাকে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
২ দিন আগে রবিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫