রাজধানীর পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "নববর্ষে জাতির প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশবাসীর ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।"
সতীর্থ
স্বজনের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রিজভী জুলাই মাসে ছাত্রদলের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, "আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় শুনেছি, তরুণদের আন্দোলন কতটা তীব্র ছিল। পুলিশ বলছে, 'একজনকে গুলি করলে আরেকজন এসে দাঁড়ায়।' এই সাহস ও প্রেরণা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকদের রচনা থেকে এসেছে।"তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সংস্কৃতিকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবেও মুখোশ পরে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দাড়ি-টুপি পরা মানুষদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু দাড়ি-টুপি পরা মানুষরা কি খারাপ? না।"
রিজভী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, "আমরা ১৬ বছর ধরে যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই নববর্ষে আমাদের দাবি—দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন জনগণের অধিকার হরণ করেছে, কিন্তু আমরা তা ফিরে পাবই।"
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভোটাধিকার ও সংস্কারকে এক করে দেখা উচিত নয়। গণতন্ত্র হলো প্রবাহমান নদীর মতো, যেখানে কর্তৃত্ববাদের স্থান নেই। অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছেন। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র বাদ দিয়ে শুধু সংস্কারের কথা বলছেন—এটি আমাদের বোধগম্য নয়।"
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, "ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনমুক্ত দেশই ছাত্রদলের জন্য ঈদের মতো আনন্দের দিন বয়ে আনবে। এই নববর্ষে সবার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতির প্রত্যাশা করি।"
এই আলোচনা সভায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন শিল্পী দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন।
৫ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫