Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

জাতীয়

মামলা-অভিযোগ দিয়ে অসহায়দের হয়রানি করছেন খুনী মোস্তাকের ভাতিঝা নাসির !

স্টাফ রিপোর্টার:
৬ দিন আগে মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো


কুমিল্লার দাউদকান্দির দশপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাকের পরিবারের অত্যাচার-মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে স্থানীয় নিরীহ অনেক মানুষ।এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি খন্দকার মোস্তাকের ভাতিঝা খন্দকার নাসির উল কবীর দশপাড়া ও সুন্দলপুর ইউনিয়নবাসির পক্ষে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে আইনি সহায়তা চেয়েছেন। লিখিত অভিযোগে খন্দকার মোস্তাকের ছেলের পুত্র

ইসতিয়াক আহমেদ বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করার জন্য আবেদন করেছেন।

প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কি ? এ বিষয়ে জানতে এলাকায় অনেকের সাথে কথা বলতে গেলে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় সূত্র জানান, খন্দকার মোস্তাকের ছেলের সাথে খন্দকার মোস্তাকের ভাতিঝা নাসির উল কবীরের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রকৃতপক্ষে খন্দকার মোস্তাকের ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ বাবু প্রায় ১০ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছে। এদিকে ভাতিঝা এই সুযোগে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ওই এলাকার নিরীহ অনেক মানুষকে বলির পাঠা বানাচ্ছেন। তার প্রভাব-বিস্তার নিয়ে যেই কথা বলতে আসে তাকেই খন্দকার মোস্তাকের সন্তানের সন্ত্রাসী বাহিনী বানিয়ে ছাড়ছে মোস্তাকের ভাতিঝা খন্দকার নাসির উল কবীর ।

স্থানীয় লোকজন আরো জানান, খুনী খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্মারা এখনো এলাকার অসহায় মানুষের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। যারাই খন্দকার মোস্তাকের পরিবারের বিপক্ষে কথা বলে বিশেষ করে ভাতিঝা নাসির উল কবীরের বিরুদ্ধে , তারাই হয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী।প্রকৃতপক্ষে আমরা চাই খন্দকার মোস্তাকের ছেলে, ভাই-ভাতিঝা কোন বংশধরই যেন আইনী সহায়তা না পায়। যার ষড়যন্ত্রে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ব-পরিবারে প্রাণ হারিয়েছে তার কোন বংশধর আইনি সহায়তা পেলে তা হবে দু:খজনক। তাও যদি নৈতিকভাবে পাওয়ার যোগ্য হতো তাহলে হতো। তারা তাদের সম্পত্তি নিয়ে লড়াই করবে এতে সাধারণ মানুষকে আসামি বানিয়ে আইনী সহায়তা পেতে পারে না খুনীর ভাতিঝা।  

স্থানীয় মুদি দোকানদার আব্দুল ওহাব পাঠান জানান, ২০২০ সালে আমাকেসহ ৬ জনকে ভুয়া মামলায় ২২ দিন কারাবরণ করতে হয়েছে। খুনী মোস্তাকের ভাতিঝা নাসির উল কবীর আমাদের জেলে পাঠাইছে। আমরা সামাজিকভাবে বিচার করেছিলাম। ওই বিচার খুনী মোস্তাকের ভাতিঝা নাসির উল কবীরের পক্ষে না যাওয়াতে পরে সে তার ভাগ্নিকে (বাড়ি কিশোরগন্জ জেলা)দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যে লুটপাটের মামলা দিয়ে ৬ জনকে জেলে পাঠায়।আমাদের দুভার্গ্য বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের সদস্য এখনো অনেক শক্তিশালী। তারাও আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করে, জেলে পাঠায়।

৬ দিন আগে মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন