নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. লাবু মিয়ার মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি ষড়যন্ত্রকারীরা এডিট করে তার ভিডিও ছেড়ে তাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি পরা চেয়ারম্যান লাবু মিয়া মাদক সেবন করছেন। তার মাদকের আড্ডায় রয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে ভিডিওতে চেয়ারম্যান ছাড়া অন্যদের চেহারা দৃশ্যমান নয়।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে তার ক্যাপশনে কেউ কেউ লিখেছেন- ‘যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে নিজেই ইউনিয়নের সব ইয়াবা খেয়ে শেষ করছেন মাদক ব্যবসায়ী মো. লাবু মিয়া।'
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান লাবু মিয়া বলেন, আমি মাদক সেবন করি না। সম্মান নষ্ট করতে প্রতিপক্ষরা ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ইতোমধ্যে আমাদের নজরে এসেছে। ভিডিওতে শালনগর ইউপি চেয়ারম্যানের মতো একজন ব্যক্তির উপস্থিতি দৃশ্যমান। যেহেতু তিনি একজন জনপ্রতিনিধি তার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যে নির্দেশনা আসবে সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়, একজন জনপ্রতিনিধির মাদক ব্যবসা ও সেবন খুবই দুঃখজনক। ভিডিওতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পরে তার বক্তব্য ও অন্যান্য ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, দলীয় সদস্য ও চেয়ারম্যান যদি মাদকাসক্ত হয় আর এটার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫