প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে জামিন পেয়েছেন আলোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল।
লালমনিরহাট ও শরীয়তপুরে কনসার্ট বাতিলের ঘটনায় ক্ষমা চান তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়ে নোবেল বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরের প্রোগ্রাম নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি কথা দিলাম, উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ গিয়ে পরবর্তীতে প্রোগ্রাম
দুটি আবার করে দিয়ে আসব। যা হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
সোমবার (২২ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন আসামি নোবেলকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে নোবেল তাদের রাজধানীর থানাধীন হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলেন। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান এবং অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার পর গান গাওয়ার জন্য মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ সময় নোবেল অনুষ্ঠানের আগে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর শাখা থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই শাখা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে মোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
১৫ দিন আগে শুক্রবার, মে ২, ২০২৫