ডেস্ক রিপোর্ট :
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'বিচারিক হেনস্তার' প্রতিবাদে ১৭৫ জন বিশ্বনেতা কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় শতাধিক নোবেল বিজয়ীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের নাম রয়েছে।
তাদের সাথে রয়েছেন একজন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার
ব্যবসায়ী- এন.আর. নারায়ণ মূর্তি। তিনি বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ইনফোসিসের সহ–প্রতিষ্ঠাতা। তবে, এসব পরিচয় ছাপিয়ে ভারত সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্ম বিভূষণ' এবং দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী'তে ভূষিত নারায়ণ মূর্তিকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মূল কারণঃ তিনি বৃটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের শ্বশুর।চলতি বছরের শুরুতে ড. ইউনূসের সঙ্গে আচরণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর যে ৪০ জন বিশ্বনেতা খোলা চিঠি লিখেছিলেন তাদের মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, গত বছর বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র টেড কেনেডি জুনিয়র ছাড়াও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুর নারায়ণ মূর্তিও ছিলেন।
জানা গেছে, কেবল ব্যক্তিগত আলাপচারিতাতেই নয়, বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও ড. ইউনূসকে নিজের 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করেন নারায়ণ মূর্তি। 'এন্টারপ্রিনিউরশিপ এন্ড কমপেশনেট ক্যাপিটালিজম' শীর্ষক একটি সেমিনারে মূলবক্তা ছিলেন নারায়ণ মূর্তি। বক্তব্যের শুরুতেই ইউনূসকে নিজের বন্ধু সম্বোধন করে নারায়ণ বলেন, "আমাকে এখানে কথা বলতে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি আমার বন্ধু জনাব মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" ইউনূসকে কেন সম্মান করেন তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমরা যারা মুহাম্মদকে চিনি তারা তাকে তার কর্মের জন্য, কম ভাগ্যবানদের প্রতি তার উদ্বেগের জন্য সম্মান করি।"
প্রসঙ্গত, নারায়ণ মূর্তি এবং সুধা মূর্তি দম্পতির দুই সন্তানঃ পুত্র রোহান মূর্তি এবং কন্যা অক্ষতা মূর্তি। অক্ষতা মূর্তির স্বামী-ই হলেন বৃটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
(সাংবাদিক ও কলামিস্ট 'তারিক চয়ন' এর ফেসবুক থেকে লেখাটি নেওয়া হয়েছে)
১৪ ঘন্টা আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫