২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে এ রায় ঘোষণা করেন।
আবেদনকারীদের পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের জানান, এই রায়ের ফলে প্রায় ১,২০০ জনের মধ্যে যারা চাকরিতে যোগ দিতে চান,
তারা ২৭তম বিসিএস ব্যাচে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাসহ নিয়োগ পাবেন।কতদিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দিতে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়েও সেই ৯০ দিনের সময়সীমা বহাল রাখা হয়েছে।
২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩,৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।
২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর আগে ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ লিভ টু আপিল করে। ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ সেই লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যখন এই ১,২০০ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারীরা জয়লাভ করেন। কিন্তু আপিল বিভাগ লিভ টু আপিলে (সিপি) বলেছিলেন যে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা সঠিক ছিল। আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা রিভিউ আবেদন করেন। ৭ নভেম্বর সেই রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
২৮ দিন আগে রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫