Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লিড নিউজ

২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’: আশাবাদ প্রধান বিচারপতির

ডেস্ক রিপোর্ট:
১৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো




প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’ হবে।


বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে

বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে বিচার বিভাগে অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।'


এ পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যাতে বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করা যায় এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা পায়। বিশেষভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে মনিটরিং সভা নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্যান্য আদালতে সেবার মানোন্নয়নের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা নিতে পারেন এবং যেকোনো অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। অভিযোগসমূহের তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


প্রধান বিচারপতি ঘোষিত অন্যান্য পরিকল্পনাগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে। বিশেষত, ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলোকে পুরোপুরি ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, বিচার বিভাগে মেধার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেলোশিপ বাস্তবায়ন করতে নীতিমালা প্রণয়ন দ্রুত চলছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিচার বিভাগ জনগণের সেবার জন্য গঠন করা হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা কী এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে বিচার বিভাগ কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা জানার জন্য প্রধান বিচারপতি ২০২৫ সালে দেশের সকল বিভাগীয় শহরের আদালতগুলোতে স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এই মিটিংগুলো রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'


আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে কাগজবিহীন বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এই বেঞ্চের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল কাগজাদি অনলাইনে প্রদান করা হবে। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও পেপার-ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।


গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে এক কনফারেন্সে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত সংগ্রহ করা হয়। শিগগিরই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

১৮ দিন আগে শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন